দক্ষিণাঞ্চল বাহারী ফলের সম্ভার। এগুলোর অধিকাংশ স্থানীয় জাতের। এর পুষ্টিমান বিদেশী ফলের তুলনায় অনেক বেশি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণে এর অবদান অনন্য। তাই এ জাতীয় ফল খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে। অপরকেও করতে হবে উৎসাহিত। ১০ ডিসেম্বর ঝালকাঠির জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে উপকূলীয় জনগোষ্ঠির পুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশীয় ফলের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বারটান) নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
বারটান আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অদিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক মো. ফজলুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানী।
বারটানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কাজী মো. ছোয়াইব, পবিপ্রবির প্রফেসর ড. মো. ফখরুল হাছান, বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডা. মো. হাফিজুর রহমান, বারটানের ঊর্ধ্বতন প্রশিক্ষক রাজু আহমেদ, ফল চাষি শামিম আহমেদ প্রমুখ।
সেমিনারে জেলা প্রশাসন, ডিএই, বারটান, বিএআরআই, কৃষি তথ্য সার্ভিস, পবিপ্রবি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, তথ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, শিক্ষা অধিদপ্তর এবং খাদ্য অধিদপ্তরের ৩০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।